বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ পত্নীতলা উপজেলা শাখার আয়োজনে মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৫০ তম জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে সোমবার নজিপুর কেন্দ্রীয় শ্রীশ্রী বাসুদেব মন্দির থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদর্শন শেষে মন্দির প্রাঙ্গণে এসে পূজা অর্চনা ও প্রসাদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ পপি খাতুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবির। অন্যান্য মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পত্নীতলা উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গোপাল চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক গৌতম চন্দ্র দে, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ পত্নীতলা উপজেলা শাখার সভাপতি রমেশ চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চন্দ্র সাহা, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি সাধারণ সম্পাদক নরেন চন্দ্র পাহান, পুজা উদযাপন পরিষদ পত্নীতলা উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি সুকুমার চন্দ্র দাস, যুগ্ম -সাধারণ সম্পাদক গয়ানাথ বর্মণ, দিলীপ কুমার দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক তমাল কুমার দাস ঘোষ, প্রচার সম্পাদক দিলিপ চৌহান, কোষাধক্ষ্য যুগল চন্দ্র দেবনাথ, আইন সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস, সহ-কোষাধক্ষ্য, সাংস্কৃতিক সম্পাদক তুষার প্রামানিক সহ ইউনিয়ন কমিটির ও পুজা মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গন সনাতন ধর্মাবলম্বী পুরুষ ও মহিলা ভক্তবৃন্দগন উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও সারা দেশের ন্যায় উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরে পূজা-অর্চনা, তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন ও তারকব্রহ্ম নামযজ্ঞ ও প্রসাদ বিতরণের আয়োজন করেছে হিন্দু সম্প্রদায়।
বিশ্বজগতের ভারসাম্য রক্ষার্থে দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন, সাধুদের রক্ষা ও ধর্ম সংস্থাপনের জন্য ভাদ্র মাসের শুভ কৃষ্ণাষ্টমী তিথিতে বর্ষণমুখর গভীর রাতে মহাপুণ্য তিথিতে মথুরা নগরীতে অত্যাচারী রাজা কংসের কারাগারে বন্দী দেবকী ও বাসুদেবের বেদনাহত ক্রোড়ে জন্ম নিয়েছিলেন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। তাদের আরও বিশ্বাস, দুষ্টের দমন করতে এভাবেই যুগে যুগে ভগবান মানুষের মাঝে নেমে আসেন এবং সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করেন।