বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহতদের দেখতে যান ও তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে প্রায় ২৫-৩০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এদের সবাই গুলিবিদ্ধ। এদের মধ্যে ১০ জনকে আজ ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচার করা হয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত গাবতলী উপজেলা ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক আল মুমিন সিফাত (২২), বগুড়া সদরের বারোপুরের সিফাত (১৮), গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সোহেল (২১), বগুড়ার শেরপুরের দশ মাইল এর আব্দুল্লাহ আল মুহিত (১৪), বগুড়া সদরের নারুলীর শামীম (৩৮), বগুড়ার ধুনট উপজেলার সোহাগ (১৮), আব্দুর রহমান জুয়েল (১৪) ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধনুট উপজেলার ধেরুয়াহাট গ্রামের সুজাবদ আলীকে দেখতে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারির ডাঃ সাহরুল আলম, অর্থ সার্জারি ডাঃ আরিফ তালুকদার, শাহজাহানপুর উপজেলা বিএনপির নেতা শফিকুল ইসলাম, গাবতলী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আরিফুর রহমান মজনু, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সুজা উদ্দিন প্রমুখ।
এছাড়া তিনি ২৮ আগস্ট বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত ২০ জন ও বিভিন্ন রোগে চিকিৎসাধীন ৫ জন দেখনে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। এ ছাড়া তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত বগুড়া শহরের কাটনার পাড়ায় আব্দুল আলীমের বাসায় যান এবং এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। পরে তিনি আব্দুল আলীমকে সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন। সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত বগুড়ার গোদারপাড়ার রিফাত হোসেন (১৮), সোনাতলার হুয়া কুয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (২৫) ঢাকার গাজীপুরের রাব্বি পাটোয়ারী (২২),বগুড়ার নন্দীগ্রামের নাজির হোসেন (২৮), সিরাজগঞ্জের আমিনুল ইসলাম (৩৫), গাইবান্ধার কবেদ আলী (২২), রায়গঞ্জ সিরাজগঞ্জের রওশন আলী (২৬), গোবিন্দগঞ্জের রফিকুল ইসলাম (৬৫), বগুড়ার ধুনট উপজেলার সোহাগ (১৮), বগুড়া শেষ শেরপুরের দশ মাইল গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মুহিত (১৪), বগুড়া সদরের নারুলীর শামীম (৩৮), বগুড়ার বাগবাড়ী গ্রামের আব্দুর রহমান জুয়েল (১৪), এছাড়া বিভিন্ন রোগে চিকিৎসাধীন গাবতলী উপজেলার নশিপুরের আবুল কাশেম, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বেতগাড়া গ্রামের আনিসুর রহমান, গাবতলী উপজেলার মহিষবানের আবুল হোসেন, শাজাহানপুর উপজেলার হেলেনচাপাড়ার আফসার আলী ,গাবতলী উপজেলার দূর্গাহাটর গড়ের বাড়ী গ্রামের মনজুসহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেক রোগীর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।