বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুৎ শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারের লেলিয়ে দেওয়া গুন্ডাদের গুলিতে সারাদেশে শাহাদত বরণকারী ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহত ও বন্যার্তদের স্মরণে সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া’র উদ্যোগে সোমবার সকালে বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি গনেশ দাস এর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক এসএম আবু সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান বিএনপি ও জামায়াত নেতৃবৃন্দের মিলন মেলায় পরিনত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদারলালু। প্রধান বক্তা ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও দৈনিক বগুড়া’র সম্পাদক রেজাউল করিম বাদশা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখার আমির অধ্যক্ষ আবিদুররহমান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক আসম আব্দুল মালেক, বগুড়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক ওয়াসিকুররহমান বেচান,সদস্য সচিব সবুরশাহ লোটাস এবং বগুড়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জামায়াত নেতা এরশাদুল বারী এরশাদ। অনুষ্ঠানেবক্তব্য রাখেন বগুড়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ ও রাহাতরিটু, আহবায়ক কমিটির সদস্য ও বগুড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রেজাউল হাসান রানু,বগুড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদকমীর সাজ্জাদ আলী সন্তোষ, জেইউবির সাবেক সভাপতি মতিউল ইসলাম সাদী, সাবেক সভাপতি সৈয়দ ফজলে রাব্বি ডলার, সাবেক,সাধারণ সম্পাদক এফ শাজাহান ও মমিনুর রশিদ শাইন, দৈনিক সকলের খবর এর বার্তাসম্পাদক আমিনুর রহমান কোয়েল, জেইউবির যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ, দপ্তর সম্পাদক শামীম আহম্মেদ, বৈষম্যবিরোধী গণমাধ্যম আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক প্রতীকওমর, বগুড়া ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহিম, দৈনিক উত্তরকোনের বার্তাসম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনার মতই আওয়ামীপন্থী সাংবাদিকরা দীর্ঘ প্রায় একযুগেরও বেশি সময় বগুড়ার সাংবাদিক সমাজকে জিম্মি করে রেখেছিল।সাংবাদিক নামধারী গুটিকয়েক দলীয় ক্যাডার বগুড়া প্রেসক্লাবকে কুক্ষিগত করে নিজেদের খেয়াল খুশিমত ব্যবহার করেছে। পেশাদার সাংবাদিকদের প্রেসক্লাবে প্রবেশাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছিল। শতশতছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে দেশটা যেমন স্বাধীন হয়েছে, ঠিক তেমনি বগুড়া প্রেসক্লাবও দখলদার মুক্ত হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রেসক্লাবের জন্য জমিবরাদ্দ দিয়েছিলেন। ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রেসক্লাবের বহুতল ভবনের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। অথচ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর একটি গোষ্ঠী প্রেসক্লাবকে দখলে নিয়ে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলেছে। আওয়ামী হায়েনাদের কবল থেকে প্রেসক্লাব মুক্ত হওয়ার পর সেইসব স্মৃতি আবারও ফিরে আসবে বলে বক্তারা আশাপ্রকাশ করেন। বিএনপি ও জামায়াত নেতৃবৃন্দ বগুড়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটিকে অভিনস্দন জানিয়ে তাদের সফলতা কামনা করেন।অনুষ্ঠানের শেষে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার পতন আন্দোলনে হতাহত এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। মুনাজাত পরিচালনা করেন সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া’র সাবেক সহ-সভাপতি মাওলানা হাবিবুর রহমান আকন্দ।