বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলমের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ নিয়ে হাজির হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। এবার ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবির গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া গেলো। ওই নেতার প্রভাব খাটিয়ে ২৮ জন টিসিবি’র ডিলারদের কাছে চাঁদা দাবি করেছে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবকদল এর কতিপয় নেতারা। চাঁদা না দিলেই মিথ্যা মামলায় হেনস্থা করা হচ্ছে।
১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভুগী টিসিবি’র নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলারা।
ডিলার মাসুদ রানা সাংবাদ সম্মেলনে তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, শিবগঞ্জ উপজেলার জনস্বার্থে সরকার কর্তৃক প্রদানকৃত টিসিবি’র পণ্য সামগ্রী নির্দিষ্ট কমিশনে বিক্রি করে পরিবার পরিজনের জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। শিবগঞ্জ উপজেলার একটি স্বার্থেন্বেষী কুচক্রী মহল তাদের স্বার্থে হাসিলের উদ্দেশ্যে সমগ্র উপজেলার ডিলারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা দায়েরর পর থেকে বাদী ও স্বাক্ষীগণ আসামী ডিলারগণকে মোবাইল ফোনে এবং বিভিন্ন লোক মারফত নানাভাবে প্রতিনিয়ত হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে।
ডিলারগণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এবং পেশিশক্তি প্রয়োগ করে, জীবন জীবিকার পথ কেড়ে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওই কুচক্রী মহল। শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলমের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে তার ভাতিজা শিবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মীর মুন এবং শিবগঞ্জ উপজেলার স্বেচ্ছাসেক দলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল বারী প্রতিজন ডিলারের নিকট থেকে প্রতিমাসে ৩৫০০ টাকা করে চাঁদা দাবী করে।
লিখিত অভিযোগে তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে না চাইলে প্রভাব খাটিয়ে তারা আমাদের টিসিবি’র মালামাল সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। তারা আমাদের ২৮ জন টিসিবি ডিলারের ডিলারশীপ ছিনিয়ে নেয়ার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে শিবগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের সভাপতি শাহিনুল ইসলাম আল আমিনকে ভূয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বানিয়ে বাদী করে আমাদের নামে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক একটি মামলা দায়ের করিয়েছে। মামলা থেকে আমাদের নাম কেটে দেয়ার জন্য প্রতিজন আসামীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবী করা হচ্ছে।
আপনারা ডিলার প্রতি ৩৫০০ টাকা করে দিলে মীর শাহে আলম ভাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বলে দিবেন, তখন আপনারা টিসিবি’র মালামাল তুলতে পারবেন। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিলার আহসান হাবিব, রুবেল, মোশারফ, মতিন, জাহাঙ্গীর, মেহেদী, রাসেল ও রেহেদুল ।